কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মাত্র ১৫ দিন পূর্বে নিজের পছন্দের প্রেমিক যুবক সোহেলকে বিয়ে করেছিল ঈশ্বরদীর মেয়ে ভাবনা খাতুন (৩৫) । গায়ে মেহেদীর রং না মুছতেই পারিবারিক কলহের জেরে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে।
শ্বাশুড়ী ঝরণা খাতুনকে পূত্রবধু হত্যায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদৌলতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ভাবনা খাতুন ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম আকালীর কণ্যা এবং ভেড়ামারা উপজেলার ঠাকুর দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মহিবুল ইসলামের ছেলে সোহেল এর স্ত্রী।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়, ১৫ দিন আগে ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের মেয়ে ভাবনা খাতুন এবং সোহেলের বিয়ে হয়। তারা নিজেরাই পছন্দ ও সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। এরই মধ্যে পারিবারিক কলোহের জেরে দুপুরে শ্বাশুড়ি ঝরণা খাতুনের সাথে বাক বিতন্ডা হয় ভাবনা খাতুনের। এসময় ঝরনা খাতুন পূত্রবধু ভাবনা খাতুনের গলা টিপে ধরেন। আশপাশের লোকজন ঠেকাতে গেলেও পাত্তা দেননি শ্বাশুড়ী ঝরনা। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ভাবনা। হত্যাকান্ডের এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ঝরণার পরিবার গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশীদের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয়রা তাৎক্ষনিক পুলিশে সংবাদ দেয়।
উপজেলার বাহাদুরপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, সংবাদ পেয়ে সোমবার সন্ধা সাড়ে ৭টায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে। ময়না ততন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এসকেএস//