নাগরিকত্ব বিক্রি ও মানব পাচারের অভিযোগের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুয়েতের আদালত।
দীর্ঘ শুনানি শেষে স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে কারাদণ্ডের সাথে পাপুলকে ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কুয়েতের কারাগারে রয়েছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর এ মামলার শুনানি শেষে কুয়েতের অপরাধ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল-ওসমান রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
এদিকে এমপি পাপুলের সম্পদের তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে এই চিঠি পাঠানো হয়।
গত বছরের ৬ জুন রাতে অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হন পাপুল। দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে গ্রেফতার করে। একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে করা মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু হয়। একই সাথে বাংলাদেশে পাপুল ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা এবং তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কুয়েতের পার্লামেন্টের দুই সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
এরই মধ্যে মুচলেকা দিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন কুয়েতের দুই সংসদ সদস্য। আর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহকে জামিন দেন আদালত।
গ্রেফতারের পর এমপি পাপুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মারাফিয়া কুয়েতিয়াকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে কুয়েত সরকার। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকারের কয়েকটি চুক্তি ও কাজের আদেশও বাতিল করা হয়েছে।
এআইএ//