কোলোরেক্টাল ক্যানসারের লক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে খুব বেশি বোঝা যায় না। কিন্তু সময় যত এগোয় ততই প্রকট হয় সমস্যা।
প্রাথমিক পর্যায়ে এর চিকিৎসা নিলে রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। যারা খুব চর্বি জাতীয়, উচ্চ প্রোটিন-জাতীয় খাবার খান এই সমস্যা তাদের বেশি দেখা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে মলত্যাগে সমস্যা, লুজ মোশান তো কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্ত আমাশা কিংবা গ্যাসের সমস্যা থাকলে এখনই চিকিৎসা করান।
পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে কোলোনোস্কপি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। চিকিৎসকদের কথায়, ‘কোলোরেক্টাল ক্যান্সার অনেক সময়েই উপসর্গহীন হয়৷ যতক্ষণে ধরা পড়ে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়৷ অস্ত্রোপচার, কোমোথেরাপি সত্ত্বেও রোগ
ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে৷’ চিকিৎসকদের পরামর্শ, পঞ্চাশের পর থেকেই কোলোন পরীক্ষা করে জানুন , পলিপ গজিয়েছে কিনা৷ আর যদি পরিবারে কোলোন ক্যান্সারের পূর্ব-ইতিহাস থাকে, তা হলে চল্লিশের পর থেকেই নিয়মিত নজরদারির মধ্যে থাকুন৷
কী কী ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায় ক্যানসারে?
যেকোনো ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়ে খুব বেশি লক্ষণ দেখা যায় না। পলিপের ক্ষেত্রে যেটা হতে পারে সেটা হচ্ছে মলের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। এখানে আমাদের দেশের রোগীরা এবং অনেক চিকিৎসকও এটা মনে করেন যে তার পাইলস হয়েছে। পাইলস মনে করে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করেন তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় এটা রেক্টাল পলিপ। পলিপটা থেকে যায় মাঝে মাঝে রক্ত যায় বা মাঝে মাঝে যায় না। তবে সেটা থেকে যাওয়ার কারণে ক্যানসার হিসেবে রূপ নেয়।
রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা
চিকিৎসার পরে রোগ নির্ণয়ের করেই কোনও রোগ নিরাময় নির্ধারণ করে। সুতরাং এই ধরনের পরিস্থিতিতে প্রথম দিকে চিকিৎসা করলে ভাল। দেরি করলেই ফল মারাত্মক হতে পারে। ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি সাধারণত কোলোনস্কোপি এবং বায়োপসি– সবচেয়ে নির্ভুল, সিটি/এমআরআই/পিইটি স্ক্যান, এবং টিউমার মার্কার (সিইএ) পরীক্ষা করা হয়।একইভাবে জনপ্রিয় স্ক্রিনিং পদ্ধতিগুলি হল কোলনোস্কোপি/সিগমাইডোস্কোপি এবং এফওবিটি।
সূত্রঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এআইএ/