মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা সররকারের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নিল ফেসুবক। দেশটিতে বিক্ষোভ-সহিংসতায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড পেইজ বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
সহিংসতা ও উস্কানির নীতিমালা ভঙ করায় এই ব্যবস্থা নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।
রাজনৈতিক সংকট তৈরি হওয়া দেশটিতে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে দু’জন নিহত হওয়ার পর পেজটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
শনিবার অভুত্থান বিরোধী মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এতে দুজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয় অন্তত ২০ জন।
এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় দেশটির জনপ্রিয় অভিনেতা লু মিনকে গ্রেফতার করেছে মিয়ানমার পুলিশ। তাকে নিয়ে মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে জান্তা সরকার।
লু মিনের স্ত্রী খিন সাবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, ‘বাড়িতে পুলিশ এসে তার স্বামীকে তুরে নিয়ে গেছে।’ তবে তাকে কোথায় নেয়া হয়েছে তা জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দেশটিতে চলমান অভ্যুত্থান বিরোধী গণআন্দোলনের এখন পর্যন্ত ৩ জন নিহত হয়েছে।
সাধারণ নির্বাচনের পর এনএলডি পার্টি বিপুল ব্যবধানে জয় পাওয়ার পর গত ১লা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সামরিক বাহিনী বিরোধী একটি দলকে সমর্থন দিচ্ছে, যারা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে আগে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাটি ঘটে। সু চি গৃহবন্দী রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ওয়াকি-টকি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এনএলডির আরও অনেক নেতাও আটক রয়েছেন।
এআইএ//