দেশে কার্যত ৪৬টি বীমা কোম্পানির ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে কোম্পানিগুলোর তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এক চিঠিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
যেসব বীমা কোম্পানির তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলো হল- এশিয়া, অগ্রণী, এশিয়া প্যাসেফিক জেনারেল, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল, সিটি জেনারেল, কন্টিনেন্টাল, ক্রিস্টাল, দেশ জেনারেল, ঢাকা, ইস্টার্ন, ইস্টল্যান্ড, এক্সপ্রেস, ফেডারেল, গ্লোবাল, গ্রীন ডেল্টা, ইসলামী, জনতা, কর্নফুলি, মেঘনা, মার্কেন্টাইল, নিটল, নর্দান, প্যারামাউন্ট, পিপলস, ফিনিক্স, পাইওনিয়ার, প্রগতি, প্রাইম, প্রভাতী, পূরবী জেনারেল, রিলায়েন্স, রিপাবলিক, রূপালী, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, সেনা কল্যাণ, সিকদার, সোনার বাংলা, সাউথ এশিয়া, স্ট্যান্ডার্ড, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন এবং ইউনাইটেড জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
জানা গেছে, চরম বিশৃংখল দেশের বীমাখাত। কোনোভাবে যেন এখানে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না। বছরের পর বছর অপেক্ষার পরও গ্রাহকের দাবি পূরণ করছে না বেশ কিছু কোম্পানি। নিয়ন্ত্রকসংস্থার চোখ ফাঁকি দিতে একাধিক ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করছে কোম্পানিগুলো।
এরমধ্যে অধিকাংশ বীমা কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। ফলে এক্ষেত্রে বাজারে কারসাজির জন্য বিভিন্ন প্রান্তিকে তাদের আয় বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেখা হচ্ছে। এর ফলে কোম্পানিরগুলোর শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করছে। বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে রির্পোট প্রকাশ করেছে জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এআইএ//