ঢাকার উপকন্ঠে অবস্থিত আশুলিয়া প্রেসক্লাবকে আওয়ামী দালালমুক্ত ঘোষণা করেছে প্রেসক্লাবের সদস্যসহ উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিকরা। এ সময় আওয়ামী সমর্থিত দুই সাংবাদিককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে প্রেসক্লাব থেকে বের করে দেয়া হয়।
রবিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলে অবস্থিত আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে প্রেসক্লাবকে দালাল মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
প্রেসক্লাবে অবাঞ্চিত আওয়ামী সমর্থিত দুই সাংবাদিকরা হলো- আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খান লিটন ও তার সহকারী শাকিল শেখ। শাকিল শেখ আওয়ামী ছাত্রলীগের পদধারী বলে জানা যায়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সকল ভাইয়েরা শহীদ হয়েছে। তাদের বিষয়ে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সংবাদ প্রকাশ বা শোক প্রকাশ করা হয়নি। এই আওয়ামী সমর্থিত দালালদের জন্য আমরা পেশাদার সাংবাদিকরা প্রেস ক্লাবে ভিড়তে পারিনি। তাই আমরা পেশাদার সাংবাদিকগন আজ সবাই একত্রিত হয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহকারিকে আশুলিয়া প্রেসক্লাবে অবঞ্চিত ঘোষণা করে প্রেসক্লাব থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে আশুলিয়া প্রেসক্লাব দালালমুক্ত ঘোষণা করা হলো।
এ সময় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক লাইজু আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের কিছু নেতৃবৃন্দ সহ সাংবাদিকদের দ্বারা আশুলিয়া প্রেসক্লাবকে আজকে দালালমুক্ত করা হয়েছে। আশুলিয়া প্রেসক্লাবের যে দু-চারজন সক্রিয় দালাল ছিল তাদের কাছে জিম্মি ছিল সাধারণ সদস্যরা। এদের সাথে কেউ পেরে উঠত না। তারা সরকার দলের সাথে আতাত করে প্রেসক্লাবকে জিম্মি করে রেখে ছিল। তাদের বাহিরে গিয়ে কোন সংবাদকর্মী সংবাদ প্রকাশ করতে পারিনি। এমন নজির বিহীন ঘটনা আমি কোন প্রেসক্লাবে দেখিনি। প্রতিবাদ করলেই তাকে সামাজিক ও দলীয়ভাবেসহ বিভিন্নভাবে হ্যাস্তন্যাস্ত করা হতো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন, ওমর ফারুক, ওবায়দুর রহমান লিটন, সীমা আক্তার ছোঁয়াসহ আরো অনেকে।
প্রসঙ্গত যে, আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে আওয়ামী সমর্থিত জহুরুল ইসলাম খান লিটন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার আলোচিত কয়েকটি ঘটনার মধ্যে রয়েছে, বিরিয়ানি ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা না পেয়ে খাসির বিরিয়ানিকে কুকুরের বিরিয়ানি বলে চালানো এবং ওষুধ ব্যাবসার সিন্ডিকেট ড্রাগলাইসেন্স বিক্রির অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে তার নামে। এক মেয়ের সাথে কুরুচিপূর্ণ অডিও ক্লিপ ফাঁস। ফার্মেসি ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ওষুদের ব্যবসা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে। ড্রাগের অভিযানে তাকে একাধিকবার জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানা যায়।