গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ২নং ওয়ার্ডের লতিফপুর এলাকায় ২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মনির হোসেন মন্ডলের বাড়িতে দু’ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ৪সেপ্টেম্বর রাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রাত তিনটার দিকে এই ডাকাতি সংঘটিত হয় বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। ডাকাতদল বাড়ির পেছনের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে এবং বিপুল পরিমাণ সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়।
কাউন্সিলরের স্ত্রী জানান, ‘রাত তিনটার দিকে ৮ থেকে ১০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল আমাদের বাড়ির পেছনের জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকে। তাদের হাতে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। বাড়ির প্রতিটি কক্ষ তছনছ করে তারা কাউন্সিলরকে খুঁজতে থাকে। তবে তিনি বাড়িতে না থাকায় তারা নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং ৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।’ এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ডাকাতদের ভয়ে কিছুই করতে পারেননি। কাউন্সিলরের স্ত্রী আরও জানান, ‘আমরা সকলেই তাদের অস্ত্রের মুখে আতঙ্কে ছিলাম। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল, কোনো ধরনের প্রতিরোধ করলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত।’ ডাকাতির সংবাদ পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় কাশিমপুর থানা পুলিশ এবং সিটির স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) কর্মকর্তারা। তারা প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছেন এবং আশেপাশের এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসান বলেন, ‘এই ডাকাতির ঘটনার পর আমাদের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য আমরা জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মনির হোসেন মন্ডলের পরিবারের এক সদস্য বলেন,, ‘আমাদের এলাকায় এমন বড় ধরনের ডাকাতি এখানে আগে কখনো ঘটেনি। আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আমাদের অনুরোধ, যেন দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়।’ ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় সেনাবাহিনীকেও অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গাজীপুরের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে, ডাকাতির ঘটনায় কাউন্সিলর মনির হোসেন মন্ডল খুবই মর্মাহত এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যরা ডাকাতির সময় বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারত। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করা হয়।’ ডাকাতির বিষয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা হয়েছে ।
এ বিষয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘আমরা এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছি এবং স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আশা করছি, খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করতে পারব।’ এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য : গত সপ্তাহে পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব সাইজ উদ্দিন মোল্লার বাড়ীতেও একইভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পরপর দুই কাউন্সিলর এর বাড়ী ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।