বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার উদ্যোগে আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (২২সেপ্টেম্বর) বিকেলে আশুলিয়া থানার ইউনিক বাস-স্টান্ড এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশুলিয়া থানা আমির অধ্যক্ষ বশির আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা উত্তরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাও: আফজাল হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট মো: শহিদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ তৌহিদ হোসাইনসহ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি মো: আবু সুফিয়ান,আশুলিয়া থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো: আবুল হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির আশুলিয়া থানা সভাপতি মো: মাসুম বিল্লাহ,জেলা প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আসাদুজ্জামানসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাকা জেলা ও সাভার আশুলিয়ার স্হানীয় নেতৃবৃন্দ।
এ-সময় ১৭জন নিহত ও ৬৫জন আহত পরিবারের মাঝে আর্থিক উপহার দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের আশুলিয়ায় সকল শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন।
এসময় বক্তারা বলেন, একদিকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা আরেক দিকে বুক পেতে দেওয়া উত্তরবঙ্গের আবু সাইদের নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশ। সেই হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হলো আর হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আবু সাইদের বাংলাদেশ বিজয়ী হলো।
৫ আগষ্ট রক্তাক্ত বাংলাদেশের ওপর মানুষ ঈদের আনন্দ করেছে। আজকে তারা এই রক্ত দিয়ে ঋণী করে রেখে গেল। সেই ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। এই শহীদরা সেই দিন স্বার্থক হবে যেদিন তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারব।
তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে বিচারপতিদের দিয়ে, আনসারদের দেশে অর্ন্তবর্তীকালেন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। প্রশাসনের রন্দ্রে রন্দ্রে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ঘাপটি মেরে আছে। এসব পরিষ্কার করে দেশপ্রেমীদের নিয়োগ দিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. ইউনুস সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা রাষ্ট্র সংস্কারে যৌক্তিক সময় চেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোও তাতে সমর্থন জানিয়েছে। সারা দেশে ছত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সে শহীদ পরিবারগুলো জামায়াতে ইসলামীর পরিবার।
সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের হাতে আর্থিক উপহার তুলে দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাকা জেলা ও সাভার আশুলিয়ার নেতৃবৃন্দ।
পরে আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।