রংপুরের হারাগাছ টাংরীর বাজার ব্যবসায়ী আমিনুর ইসলামকে ষড়-যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আমিনুর ইসলাম একজন মৎস্যচাষী। টাংরীর বাজারের তার হোটেল ও কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। তিনি দীর্ঘ দিন থেকে মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে রূখে দাঁড়িয়েছিলো। তিনি বিগত সময় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য পুলিশ ও র্যাবের কাছে দিয়ে ধরিয়ে দিত। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে পূর্বের শত্রুতার জেরে আমিনুর ইসলামকে মাদক আইনের ধারায় মামলায় মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, হারাগাছ টাংরীর বাজার এলাকায় দিন দিন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। এসব ব্যক্তিদের এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বললে তারা বিভিন্নভাবে এলাকাবাসীকে হুমকি ধামকি প্রদান করে।
গত ৬ নভেম্বর ফেনসিডিল সহ আটককৃত শাহাজালালকে প্রায় তিন-চার বছর আগেও গাঁজা সহ আটক করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় শাহাজালাল ও তার সহযোগিদের ধারনা আমিনুর ইসলাম পুলিশকে তথ্য দিয়ে তাকে ধরিয়ে দিয়েছি। ওই ঘটনার পর শাহাজালাল ও তার সহযোগিরা আমিনুর ইসলামকে শত্রুতা মনে করে আসছে। এরই জের ধরে গত ৬ নভেম্বর ফেনসিডিল সহ আটক শাহাজালাল পুলিশকে জানায় আমিনুর ইসলাম তার সাথে মাদক ব্যবসায় জড়িত।
আমিনুর ইসলাম কোন দিন মাদকের বেচাকেনার সাথে জড়িত ছিলেন না, আপনারা আরো এলাকাবাসীর কাছে খোঁজ নিতে পারেন। আমিনুর ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে গোপনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে। তার নামে মাদক সেবন না বেচাকেনার কোন মামলাও নাই। অথচ ৬ নভেম্বরের ঘটনায় মাদক সহ আটক আসামীর কথায় অভিযানের পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত না করে তাকে মাদক মামলায় তিন নম্বর আসামী দেখিয়েছে। তিনি একজন সহজ সরল মানুষ। মাদকের মিথ্যা মামলায় আমিনুর ইসলামকে সামাজিকভাবে সম্মান ক্ষুন্ন ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে।
এবিষয়ে আমিনুর ইসলাম এর ছেলে শুভ বলেন, গত ৬ নভেম্বর বুধবার বিকেল ৩ টা থেকে সাড়ে চারটা পযন্ত চরচতুরা গ্রামে আমি ও আমার বাবা বাড়ীর পাশে আমাদের পুকুরে মাছের খাবার দেই। এরপর বাড়িতে খাওয়া শেষে টাংরিরর বাজারে আমরা এসে জানতে পারি ৬ নভেম্বর বিকেল সোয়া তিনটার দিকে দালালহাট-টাংরিরবাজার সড়কে মোহনীর মিলের সামন থেকে লালমনিরহাট সদরের আর্দশ বাজার এলাকার শাহাজালালকে ফেনসিডিল সহ আটক করে নিয়ে গেছে মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশ। এর পরদিন অথাৎ ৭ নভেম্বর মানুষের মুখে জানাতে পারি মাদকসহ শাহাজালালকে আটকের ঘটনায় তিনজনের নামে হারাগাছ থানায় মাদক আইনের ধারায় মামলা হয়েছে। সেই মাদক মামলায় আমার বাবাকে তিন নাম্বার আসামী করা হয়েছে এবং মামলায় আমার বাবাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। অথচ আমার বাবা ও আমরা ঘটনার কিছুই জানি না এবং মাদকসহ আটকের সময় আমরা বাড়ীর পাশে পুকুরে মাছের খাবার দিচ্ছিলাম এবং মাদকসহ আটকের ঘটনাস্থল থেকে আমাদের বাড়ী ও দোকানের দুরুত্ব অনেক দুর। অথচ গত ৬ নভেম্বর হারাগাছ থানায় দায়ের হওয়া মাদক আইনের মামলায় আমার বাবাকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে। তাই রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহাদয়সহ হারাগাছ থানার ওসি মহাদয় ও মামলার তদন্তকারী অফিসারের কাছে বিনীতভাবে আদেবন জানাচ্ছি, সঠিকভাবে তদন্ত করে তাকে মামলা থেকে পরিত্রান পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন।
এ বিষয় রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার ওসি মোঃ মমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে এ বিষয়ে পরে বলতে পারবো।