বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে সারাদেশে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের লেলিয়ে দেয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের ঘটনায় গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। দায়েরকৃত সেই মামলার অন্যতম আসামি গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান খান ওরফে কামরুল খাঁ ওরফে পান খোর কামরুল (৫২) দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে ব্যাক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষে মহাসড়ক অবরোধ করে উস্কানীদাতাদের মধ্যে অন্যতম হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নড়েচড়ে বসে তাকে সারাসি অভিযান চালিয়ে আটক করে । গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরিশপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই শফিউল আলম। গ্রেপ্তারকৃত কামরুজ্জামান খান ২নং ওয়ার্ডের মৃত মজলিস খানের ছেলে এবং গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,কামরুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন ওই থানার এসআই সুমন খান। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। থানা সুত্রে জানা যায় কামরুজ্জামান খান কামরুল ওরফে পানখোর কামরুল কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের একজন ছেচরা নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ উঠেছিল। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং মামলার তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ।