সাভারে পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে কমমূল্যের পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।
জুমআ বার(৭মার্চ) সকাল সারে ৯ টায় সাভার উপজেলা মডেল মসজিদের সামনে এ বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা জেলার আমীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলার রাজনৈতিক সেক্রেটারি ও ঢাকা-১৯ (সাভার -আশুলিয়া) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী হাসান মাহবুব মাস্টার, আইন বিষয়ক সেক্রেটারি এডভোকেট মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সেক্রেটারি অধ্যক্ষ লুতফর রহমান, জেলা প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান জীম ও সাভার পৌর সেক্রেটারি আব্দুস সালাম।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলার উদ্যোগে মাসব্যাপী এই বিক্রয় কর্মসূচি পালন করা হবে। এদোকানে রমজানের ইফতার ও সেহরির বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কেনামূল্যে ক্রেতারা পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
রমজান মাস উপলক্ষ্যে প্রতিদিন সকাল সারে ৯টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ক্রেতাদের জন্য প্রতি কেজি চাউল ৫৮ টাকা, ডাল প্রতি কেজি ১০০ টাকা, তেল প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা ও আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন বলেন, রমজান মাস আসলেই এদেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বৃদ্ধি করে সাধারণ জনগণকে রোজা পালনে কষ্ট দেয়। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে দাম কমানো বা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার তেমন প্রচেষ্টা দেখা যায় না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার সাধ্যানুযায়ী কমমূল্যে পণ্য কিনে ক্রয়কৃত মূল্যে জনগণের কাছে বিক্রি করছে। এসব কাজে যারা জড়িত, পরিবহন ব্যয়সহ সার্বিক খরচ সংগঠনের পক্ষ থেকে বহন করা হচ্ছে। জামায়াতের ৪ দফা কর্মসূচির একটি হচ্ছে সমাজকল্যাণমূলক কাজ। কমমূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম তারই অংশ। এর মাধ্যমে জামায়াত একটি মানবিক, কল্যাণমূলক, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। এমন রাষ্ট্র গঠনে দেশের সকল স্তরের মানুষকে জামায়াতে ইসলামীকে সহযোগিতা করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
ঢাকা জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি হাসান মাহবুব মাস্টার বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে গরীব ও অসহায় মানুষগুলো যেন পাইকারিতে পণ্য ক্রয় করতে পারে, সে বিষয়টি খেয়াল করে আমরা কমমূল্যের দোকান চালু করেছি। আলহামদুলিল্লাহ শুরু থেকেই অগনিত ক্রেতা বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করতে পারছেন।
কমমূল্যে পন্য কিনতে আসা আছিয়া খাতুন বলেন, আমি জামায়াতের কমমূল্যের দোকান থেকে পণ্য কিনেছি। বাজারে চেয়ে অনেক কমদামে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এটি ভালো উদ্যোগ, প্রতিটি বাজারে এমন বাজার চালু করা হলে গরীব, অসহায় ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য রোযা পালনে সুবিধা হবে।
মাকসুদুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আমাদের মত স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কমমূল্যের দোকাটা ভালো হয়েছে।
সরজমিনে ওই দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, রিকশা শ্রমিক, অটো শ্রমিক, মধ্যম আয়রে মানুষগুলোসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন ইফতার ও সেহরির প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে দোকানে ভীড় জমাচ্ছে। আবার পাইকারির বাজারের চেয়েও কমদামে পণ্য ক্রয় করতে পেরে অনেক ক্রেতা জামায়াতের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।