ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা কার্যক্রমে বাধা, হামলার প্রতিবাদে বিবৃতি ছাত্রশিবিরের
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম ও রংপুর | ৩১ মে ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দিন চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গঠিত ‘ফ্রি হেল্প ডেস্ক’-এ হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে একে “ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার পথ রুদ্ধ করার অপচেষ্টা” হিসেবে বর্ণনা করেছে।
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ চত্বরে স্থাপিত হেল্প ডেস্কে শনিবার সকাল ৯টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, কয়েকজন যুবক হেল্প ডেস্কে উপস্থিত ছাত্রশিবির কর্মীদের উপর চড়াও হয় এবং টেবিল, ব্যানার ও অন্যান্য সামগ্রী ভাঙচুর করে। ঘটনার পর হেল্প ডেস্ক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানে দায়িত্বরত কয়েকজন কর্মী আহত হন বলে দাবি করেন ছাত্রশিবির নেতারা।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য ও সহায়তা প্রদানের জন্য গঠিত হেল্প ডেস্কে হামলা নিন্দনীয়। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে যারা এমন কল্যাণমূলক উদ্যোগে বাধা দেয়, তারা প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থির করে তুলতে চায়।”
একই দিন রংপুর শহরের পুলিশ লাইনস স্কুল ও কলেজ গেটসংলগ্ন এলাকায় ছাত্রশিবির কর্তৃক স্থাপিত একটি ফ্রি হেল্প ডেস্কে হামলার অভিযোগ উঠে। ছাত্রশিবিরের দাবি, ওই এলাকার চিড়িয়াখানা গ্যারেজের কিছু লোকজন হঠাৎ এসে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং ডেস্কে থাকা কর্মীদের হুমকি দিয়ে এলাকা ত্যাগে বাধ্য করে।
ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় শাখা এক বিবৃতিতে জানায়,“একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সহানুভূতিশীল পরিবেশে শিক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষা দিতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই আমাদের হেল্প ডেস্ক। অথচ একের পর এক এই মহৎ উদ্যোগে হামলা প্রমাণ করে যে একটি মহল কল্যাণমূলক কাজও সহ্য করতে পারছে না।”
অন্যদিকে হামলার বিষয়ে ছাত্রদলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, শিক্ষাঙ্গনে পুনরায় সহিংস রাজনীতির পদধ্বনি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক মহল ও শিক্ষাপ্রেমীরা। তাদের ভাষ্য, রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে, তবে শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক কাজে বাধা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ছাত্রশিবির জানিয়েছে, এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে এবং শিক্ষাঙ্গনে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। তাদের ভাষায়,
“জুলাইয়ের ইতিহাসে যারা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল, তারা আজও সন্ত্রাস-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। ইন শা আল্লাহ, শান্তিকামী ছাত্রসমাজই জয়ী হবে।”
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।