জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে যুবদল কর্মীর থানায় অভিযোগ
ঢাকা জেলা সাভারের আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী যুবলীগের নেতা মামুনের নেতৃত্বে আলম পারভেজ শান্ত নামের এক যুবদল কর্মী'কে হত্যার হুমকি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় যুবদল নেতা মোঃ আলম পারভেজ শান্ত জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীপুর মুন্সিপাড়াস্থ নিজ বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন ভুক্তভোগী যুবদল নেতা আলম পারভেজ শান্ত। এ সময় মামুনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক সেখানে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
তিনি প্রতিবাদ করলে মামুন ও তার সহযোগীরা ধারালো চাকু, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল বের করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মো. মামুন (৪৫), নিষিদ্ধ ঘোষিত যুবলীগ নেতা ও কথিত মাদকচক্রের হোতা। মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (২৩), শ্রীপুর মুন্সিপাড়া। মোঃ জামিল, শ্রীপুর এজিস গেট এলাকা ও মোঃ খালেক (৫০), শ্রীপুর স্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার এস আই শেখ মাসুদ আল মামুনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি হাসান কলোনী এলাকার দায়িত্বে নই আমি ঘোষ বাগ এলাকার বিট অফিসার আমার কাছে এমন অভিযোগের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি যে কর্মকর্তাকে তদন্তভার দিয়েছে, তার নামও শেখ মাসুদ আল মামুন—যিনি আশুলিয়া থানার ঘোষবাগ বিটের কর্মকর্তা । ফলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন উঠেছে, একই নামের অভিযুক্ত এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আসলে একই নামের ব্যাক্তিকে দিয়ে তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে—সে প্রশ্ন এখন আলোচনায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মামুন আওয়ামী যুবলীগের নেতা হয়েও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তার আর্থিক প্রভাবে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
প্রশাসনের প্রতি দাবি, এলাকাবাসী অবিলম্বে মামুন বাহিনীকে আইনের আওতায় আনার এবং তদন্তকারীর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।