কক্সবাজার জেলার বড় মহেশখালীতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরি মন্দিরের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ওই নেতা এ জমিতে ঘর স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালান।
৫ ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে
সরেজমিনে গিয়ে মন্দিরের জমি দখলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বাঁধার মুখে পড়ে নেপাল ও অনিলের।
এ ব্যাপারে মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মন্দির কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া গ্রামে মৃত মনোহরি দে এর পুত্র সতিন্দ্র দে ও সবুল কান্তি দে গং আরএস -৩১১ খতিয়ান- এম আর আর-২৯৮, খতিয়ানের আরএস-১৭৫০৭, দাগের বি এস ১নং খতিয়ানের বিএস-১১৬০৯ দাগের ০.৪৩ একর জমির আন্দরে প্রাপ্ত অংশের খাস শুনজাইস’সহ ৬৭ কড়া জমি বড় মহেশখালী সার্বজনীন শ্রী শ্রী হরি মন্দির নামে দানকৃত জমি ভোগ দখলে ছিল মন্দিরের। যার দক্ষিণে নেপাল ও অনিল গং এর বাড়ী সুবাদে সম্প্রতি ২৪ শে অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় হামুনের তান্ডবে মন্দির ভাংচুরে এর মধ্যে ৬৭ কড়া জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন নেপাল গং।
স্থানীয় মোজাম্মেল বলে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সালিশী রায় কমিটির পক্ষে যায়। এরপর কমিটির পক্ষ থেকে রেজিঃ দলিল হয়। উক্ত মন্দিরের জমিতে বসতঘর নির্মাণের চেষ্টা চালান। এ সময় এলাকাবাসী ও মন্দির পরিচালনা পক্ষ থেকে বাঁধা দেওয়া হলেও তিনি মানেননি। এ অবস্থায়
সরেজমিনে দেখা গেছে, মন্দিরের সীমানা খুঁটি চিহ্নিত আছে। ঐ সীমানার ভেতরে নেপালের টিন-বাঁশ ও মাটির দেয়ালের দুটি ঘর আছে। মাটির দেয়ালের ঘরটি ভেঙে ঘর নির্মাণের জন্য ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণকাজের বাঁশ স্তূপ করে রাখা।
নেপাল কান্তি দে দাবি করেন, তিনি নিজে ৩০ বছর ধরে মন্দির কমিটির সভাপতি এবং আমি এ জমির মালিক। মাটির দেয়ালের পুরোনো ঘরটি ভেঙে পড়ায় ঘর নির্মাণ করতে চাচ্ছেন। তবে জমির মালিকানাসংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তিনি রেকর্ডের কথা উল্লেখ করলে নেপাল উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমিও মামলার শেষ দেখে ছাড়ব।
মন্দির উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুকুমার চন্দ্র দে বলেন, স্বত্ব মামলা, নামজারি ও সেটেলমেন্ট জরিপের সময় নেপাল তাঁর মালিকানার বিষয়ে কোনো দলিলপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি (নেপাল) যে জায়গাটা দখল করে রেখেছেন সেখানে মন্দির ছিল। তাঁকে অনেকবার জমি ছেড়ে দিতে বলে তিনি কোন কর্নপাত করেনি। মোট কথা নিজ হাতে মন্দিরের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই নেপাল মন্দিরের লোকজনের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে। সন্ত্রাসী প্রকৃতির বলে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পান না।
এ বিষয়ে মন্দির পরিচালনা কমিটি ও মন্দিরের অর্ধশত ভক্ত এবং পূজারি মন্দির চত্বরে প্রতিবাদ সভা করেন। এতে উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।