শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ধামরাইয়ের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস কালাম হত্যার রহস্য উদঘাটন সহ মুল হত্যাকারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪ পরীক্ষার্থীর খাতা অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ প্রভাষক আবু রায়হানের বিরুদ্ধে আমরা সাংবাদিকতায় ডিগ্রি বিষয়ে হুদাই প্যাঁচাল আর তর্ক বিতর্ক চালাচ্ছি —সাঈদুর রহমান রিমন সাভার হাইওয়ে থানায় ওপেন হাউজ-ডে পালিত সাভারে সাংবাদিককে নিয়ে অপপ্রচার, তিন জনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন জয়পুরহাটে চরম প্রতিদ্বন্দী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুস্মরনীয় শিষ্টাচার ময়মনসিংহ আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে ‘শিখা’ ধামরাইয়ে সংবাদকর্মীকে হুমকির ঘটনায় সেই ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

পরীক্ষার্থীর খাতা অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ প্রভাষক আবু রায়হানের বিরুদ্ধে

মাহফুজুল হক, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১ জুন, ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

মাহফুজুল হক, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীর খাতা এক ঘন্টা অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে বগুড়া সরকারি মুজিবর রহমান মহিলা কলেজের ইসলামী ইতিহাসের প্রভাষক মোঃ আবু রায়হানের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৩০মে) ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া সরকারি মুজিবর রহমান মহিলা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০১ নং কক্ষে৷
ওই শিক্ষার্থী জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার শিকটা গ্রামের জয়লান রহমানের মেয়ে কামরুন্নাহার ও প্রভাষক আবু রায়হান একই গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে বলে জানা জানা গেছে৷
ওই শিক্ষার্থী আজিজুল হক কলেজের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন৷
(১ জুন) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৪মে) শিকটা গ্রামে ধান ভাঙ্গা কল থেকে এক বস্তা ধান চুরি করেন আবু রাহানের ভাই রেজুয়ান। ধান ভাঙ্গা মেইল কর্তৃপক্ষ নিজেই আবু রায়হানের ভাইকে হাতেনাতে ধরেছে৷ একই দিনে সন্ধ্যায় গ্রাম্য সালিসি বৈঠকে প্রভাষক আবু রায়হান উপস্থিত ছিলেন। সালিশে বিচারকরা ধান চুরি ও চিকিৎসা বাবদ প্রভাষক আবু রায়হানের বড় ভাই রেজুয়ানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে শিক্ষার্থী কামরুন নাহারের বাবা জয়নাল ও প্রভাষক আবু রায়হানের বড় ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মুখোমুখি আকর্ষিক বাগবিতন্ডা শুরু হলে বিষয়টি স্থানীয়রা মিটিয়ে দেন। জয়নালের মেয়ে কামরুন্নাহার বগুড়া আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার (৩০মে) মজিবর রহমান মহিলা কলেজের ২০১ নং কক্ষে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থী কামরুন নাহার। ওই কক্ষে গার্ড পড়েছিলেন প্রভাষক আবু রায়হান। পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই আবু রায়হান পরীক্ষার্থী কামরুন নাহারের খাতা কেড়ে নেন। কিছুক্ষণ পর তাকে সামনে ডেকে দাঁড়িয়ে রেখে উপস্থিত ৪০/৫০ জন পরিক্ষার্থীর মাঝে কামরুন নাহারকে বলেন, তোমার বাবা আমার বড় ভাইকে মারধর করেছে। কামরুন নাহার তখন বলে আমি জানিনা স্যার আমি বগুড়ায় থাকি। আবু রায়হান বলে, তুমি বাড়িতে ফোন দিয়ে বল তোমার বাবা আমার পরিবারের কাছে ক্ষমা না চাইলে, তোমার খাতা গায়েব করে দেব। তোমাকে ২/৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করবো এবং তোমার স্বামীও পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি যদি তোমার স্বামীকে এক্সপেল করি তোমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি জেনে গেলে তোমার সংসারও টিকবে না৷ এক ঘন্টা এগারো মিনিট খাতা অবরুদ্ধ রেখে এক ঘন্টা পর কামরুন্নাহারকে পরীক্ষার খাতা দিয়েছেন প্রভাষক আবু রায়হান৷ পরীক্ষা শেষে কামরুন নাহার তার ভাই ও বাবাকে বিষয়টি অবহতা করেন৷
কামরুন্নাহারের ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমার বোনের ফাইনাল পরীক্ষা চলা কালে খাতা কেড়ে নিবে এটা কেমন ধরনের অবিচার৷ আমরা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করছি৷ একজন প্রভাষক হয়ে বিনা কারণে একজন ছাত্রীর ফাইনাল পরীক্ষার খাতা এক ঘন্টা অবরুদ্ধ রেখেছে। আবু রায়হানের কি দাবি আছে পারিবারিকভাবে আমাদের সাথে বসতে পারত। মুজিবর রহমান মহিলা কলেজের প্রিন্সিপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি৷ তিনি যেন এই বিষয়টি খতিয়ে দেখেন৷
স্থানীয় ও সাবেক ছাত্ররা জানান, তারাও এ কলেজে পড়াশোনা করেন বা পরীক্ষার্থী। শিক্ষকদের সঙ্গে কখনো তারা বেয়াদবি করেননি। এটি একটি জঘন্যতম ঘটনা। ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে ১ ঘন্টা খাতা অবরুদ্ধ রাখে প্রভাষক আবু রায়হানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। শাস্তি ছাড়া কোনো সমাধান নেই। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুজিবর রহমান মহিলা কলেজের ইসলামী ইতিহাসের প্রভাষক আবু রায়হান এর কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলছিল সে পিছনে অন্যান্য শিক্ষার্থীর দেখিয়ে লেখার চেষ্টা করছে। আমি নকল ও পিছনের দিকে তাকিয়ে লেখার অপরাধে তার খাতা একঘন্টা অবরুদ্ধ রেখেছিলাম৷ পরে আমি তাকে খাতা দিয়েছি৷ কামরুন্নাহারের বাবার সঙ্গে আপনার পরিবারিক বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। কেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রভাষক আবু রায়হান বলেন এখানে পারিবারিক কোনো বিষয়বস্তু নয় আমার নৈতিকতার জায়গা থেকে নকল করার অপরাধের তার খাতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷
বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল রেজাউন নবীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, (৩০মে) বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলাকালীন এ বিষয়টা ঘটেছে ওই দিন কেউ আমাকে অবগত করেনি। ( ৩১মে) শুক্রবার দিন আমি জেনেছি পারিবারিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষার্থী খাতা কেরে নিবে এটি মোটেও সমচিন নয়। আমরা প্রশাসনিকভাবে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৪৯ অপরাহ্ণ
  • ২০:১১ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102