ঢাকা জেলা সাভারের আশুলিয়ার গনকবাড়ী এলাকায় পারমাণবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্কুল এন্ড কলেজ (এ ই আর ই স্কুল এন্ড কলেজ) এর শিক্ষার্থীকে ব্রেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে মারধর ও রক্তাক্ত করার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্কুল প্রাঙ্গণেই অভিযুক্ত শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে বুকে হাতে প্লেকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীকে মারধর করার ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে পরীক্ষার ফলাফল’কে কেন্দ্র করে পারমাণবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্কুল এন্ড কলেজ (এ ই আর ই স্কুল এন্ড কলেজ) এর নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কৌশিক’কে বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে মারধর ও রক্তাক্ত করে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রবীর সূত্রধর। পরে আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থী’কে দ্র্রত রক্তাক্ত অবস্হায় নাগরিক হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে শিক্ষার্থীকে আহত হওয়ার ঘটনার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মাঝে ছরিয়ে পরলে ৩০শে নভেম্বর সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা এ অমানবিক টর্চার ও নির্মম আঘাতে তাদের সহপাঠীকে আহত করার প্রতিবাদে ওই ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রবীর সূত্রধর’র পদত্যাগ চেয়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল স্যার এর আগেও তিনি হিন্দু ধর্মের হওয়ায় মুসলমানদের ইসলাম শিক্ষা বইকে ক্লাস রুম থেকে বাইরে ফেলে দিয়েছেন। গতকাল তিনি আমাদের সহপাঠী’কে কৌশিক’কে অমানবিকভাবে মারধরও রক্তাক্ত করেছেন। আমরা এ শিক্ষকের পদত্যাগ চাই।
এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক জাহিদ জানান, প্রবীর সূত্রধর স্যার যে কাজটি করেছেন কাজটি খারাপ করেছেন। গায়ে হাত তোলার একটি লিমিটেশন থাকার দরকার ছিলো। রক্ত ক্ষরণ হওয়ার বিষয়টি অতিরিক্ত হয়েছে।
শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়ে অভিযুক্ত ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রবীর সূত্রধর এর কাছে মারধর রক্তাক্ত করার বিষয়টি মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনারা স্কুলে এসে চা খেয়ে যান এবং এই বিষয়টি হতে আমাকে বাঁচান। আমি ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল এর দায়িত্ব চাই না। আপনারা আমাকে বাঁচান বলে বার বার ওই প্রতিস্ঠানে যাওয়ার অনুরোধ করে তিনি চা’ খাওয়ার কথা বলেন।
এদিকে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। যাতে করে আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা না ঘটে।