ভালোবাসার টানে আশুলিয়ায় ছুটে এসে ঘর বাঁধলেন সাইপ্রাসের তরুণী আন্থি তেলেবান্থু।
এবার সুদূর ইউরোপ থেকে পাঁচ বছরের প্রণয়কে বিয়েতে রূপ দিতে বাংলাদেশের সাভারের আশুলিয়ায় ছুটে এসেছেন সাইপ্রাসের নাগরিক এক তরুণী। সাতসমুদ্র পাড়ি দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার যুবক শামীম আহমেদের সঙ্গে। ভালোবাসার টানে এর আগে গত ২৮ নভেম্বর আশুলিয়ায় শামীমের বাড়িতে আসেন আন্থি তেলেবান্থু।
জানা যায়, আশুলিয়ার গাজীরচট আয়নাল মার্কেট এলাকার মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শামীম। এমন খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন আর পাড়াপ্রতিবেশীরাও ছুটে আসছেন তার ভিনদেশি বউকে একনজর দেখতে। এদিকে গনমার্ধ্যমকর্মীদেরও উপচে পড়ছে তথ্য সংগ্রহে, সাইপ্রাসের নাগরিক আন্থি তেলেবান্থু যেন সবাইকে আপন করে নিয়েছেন বাংলাদেশী বাংলা ভাষাভাষী এ পরিবারটিকে।
আঁট বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাসে যায় বাংলাদেশের তরুণ শামীম আহমেদ। সেখানেই পরিচয় হয় এই তরুণীর সাথে। সেই থেকে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালোলাগার সম্পর্ক। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর একে অপরের সাথে ভালোবাসার গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে যান তারা। ভিসার মেয়াদ শেষে শামীম দেশে চলে আসে কিন্তু ভালোবাসা দেশের দূরত্ব আটকে রাখতে পারেনি সাইপ্রাসের তরুণীকে কিছুদিনের মধ্যেই হঠাৎ বাংলাদেশে চলে আসে সাইপ্রাসের নাগরিক তরুণী আন্থি তেলেবান্তো। শামীমের ভিনদেশী স্ত্রীকে ঘিরে চলে নানা আয়োজন।
আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি পাড়াপ্রতিবেশীরাও ছুটে আসছেন ভিনদেশী বউকে এক নজর দেখার জন্য । সাইপ্রাসের নাগরিক আন্থি তেলেবান্থুও সবাইকে আপন করে নিয়েছেন।
শামীম আহমেদ আশুলিয়া থানার গাজীরচট আয়নাল মার্কেট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ আহমেদ এর বড় ছেলে।
আন্থির সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের বিষয়ে শামীম আহমেদ বলেন, ২০১৫ সালে আমি স্টুন্ডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাস চলে যাই। সেখানকার সিডিএ কলেজে ভর্তি হওয়ার পর লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি নেই। সেখানেই প্রথম আন্থির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এক সময় আমরা দুজন দুইজনকে পছন্দ করা শুরু করি। পরে প্রেম থেকে এখন বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছি। অনেক আগে থেকেই সে বাংলাদেশে আমার বাড়িতে আসার কথা বলেছিল। এরপর গত ২৮ নভেম্বর সে সত্যি সত্যিই বাংলাদেশে চলে আসে।
গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা জজকোর্টে বাংলাদেশের আইন অনুসারে বিয়ে করেছেন দুই পরিবারের সম্মতিতে । তারা বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা দুজন ঢাকা জজকোর্টে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।
আন্থি তেলেবান্থু বলেন, আমরা প্রথমে বন্ধু হয়েছি। পরে আস্তে আস্তে আমি তার প্রেমে পড়ে যাই। আমি বাংলাদেশের মানুষের আতিথিয়তায় মুগ্ধ হয়েছি আর আমার পরিবার শামীমকেও অনেক পছন্দ করেন। তারাও আমাদের এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছে।