কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, চৌদ্দগ্রাম সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুর রশিদ (৯৬) বার্ধক্যজনিত কারণে গত মঙ্গলবার রাত দশটায় কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাজনীতিবিদ, ধার্মিক ও পরহেজগার এবং সাধারণ জনগণের সেবক ছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা-মসজিদ সহ বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি নিজ এলাকার জনসাধারণের সেবায় সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি চার পুত্র ও চার কন্যা সন্তান, আত্মীয়-স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চৌদ্দগ্রাম এইচ জে সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। মরহুমের জানাযায় শরীক হয়ে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য প্রদান করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো: মুজিবুল হক মুজিব এমপি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মরহুমের জ্যেষ্ঠ পুত্র, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বাহার উদ্দিন রেজা বীরপ্রতীক, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম এ বাহার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহজালাল মজুমদার প্রমুখ। এ সময় বক্তারা মরহুমের জীবনচরিত আলোচনা সহ বিদেহী আত্মার সর্বোচ্চ মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মরহুমের জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মৌকারা দরবার শরীফের আ’লা হযরত পীর সাহেব কেবলা আল্লামা নেছার উদ্দিন ওয়ালী উল্লাহ। জানাযায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ওলামায়ে ক্বেরাম, ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিন, মরহুমের আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খী, শুভানুধ্যায়ী এবং ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসল্লিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।