রংপুরের লালমনিরহাট জেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের হরিচওয়া গ্রামের ছাফিকুল ইসলামের ১৬ বছরের মেয়ে সুমি আক্তারকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে, এ ব্যাপারে ছাফিকুল ইসলাম লালমনিরহাট থানায় মামলা করেছেন।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মোছাঃ সুমি আক্তার (১৬), স্থানীয় হরিণচওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। সুযোগ বুঝে একই এলাকার বকুল মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২২) সুমির সাথে পরিবার ও এলাকার লোকজনের অগোচরে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়িয়া তোলে ও ভালোবাসার সম্পর্কের অজুহাতে সুমিকে বিভিন্ন ভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়া স্বামী-স্ত্রী রুপে মেলামেশা করে। মেলামেশা করার একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্তা হয়। তখন সুমি আক্তার রিপনকে বিবাহ করিয়া নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করিলে, রিপন টালবাহানা করিয়া কালক্ষেপন করে। বর্তমানে সুমি প্রায় ৩ মাসের অন্তঃসত্তা। গত ১৮/০২/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় রিপন মিয়া সুমি আক্তারের বাসার সামনে তার সাথে কথাবার্তা বলাকালীন সময় গর্ভের সন্তানের কথা বলিয়া বিবাহ করিয়া নেওয়ার জন্য বলিলে, উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হইলে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনে এবং রিপনের পরিবারকে বিবাহ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে পরিবারটি ক্ষিপ্ত হইয়া পরিবারসহ সকল লোকজনদের বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করে।
বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় পরবর্তীতে রতন মিয়া (২৪), মেরী বেগম (৪৫), বকুল মিয়া (৫০), খাদিজা বেগম (৩০) সহায়তায় রিপন পরিবার ও লোকজনের অগোচরে সুমি আক্তারকে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দিয়া নিজ বাড়ি হইতে অপহরণ করিয়া লইয়া যায়। তখন পরিবার ও এলাকাবাসী অমেক খোঁজাখুজি করিয়া কোন খানে না পাইয়া উপস্থিত লোকজনের মাধ্যমে মেরী ও বকুলকে জিজ্ঞাসা করিলে, তারা জানায় রিপন ও সুমি আক্তারসহ অজ্ঞাত স্থানে রাখিয়াছে, বিয়ষটি সমাধান হওয়ার পর তাদেরকে বাহির করিয়া নিয়া আসিবে বলিয়া বিভিন্ন ধরনের অবান্তর কথাবার্তা বলে। এরপর স্হানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে থানায় মামলা করা হয়।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সাইদুল, রবিউল ইসলাম, মজিদ, ছোলেমানসহ আরো অনেকে বলেন, ঘটনাটি সত্য আমরা এলাকাবাসী অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু সমাধান করতে পারিনি। আমরা অসহায় পরিবারটির পক্ষে ন্যায় বিচার কামনা করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিপনের বাবা বকুল বলেন, সকল তথ্য ভুল, আমি আমার ছেলে রিপনকে বিতারিত করেছি। ওরাই আমার ছেলেকে তাদের মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে সরিয়ে রেখেছে। আমি মামলা করবো।
লালমনিরহাট থানার তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার বলেন, থানায় অভিযোগ করেছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্হা নেয়া হবে।